আমার নারায়ণগঞ্জ:
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশ। সংগঠনটির দাবি, এটিই হতে যাচ্ছে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ।
আর এ জন্য ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা হিসেবে অধীক সংখ্যাক নেতাকর্মী নিয়ে ওই সমাবেশে জোগ দেয়ার কথা রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের।
জানা গেছে, ঢাকার ওই সমাবেশ থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকেই প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশত বাসে করে নেতাকর্মীরা ঢাকার ছাত্র সমাবেশে যোগ দিবেন। আর এ নিয়ে বৈঠকও করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। পাশাপাশি, সোনারগাঁ উপজেলা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার থেকেও হাজারো ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ঢাকার ওই সমাবেশে যাওয়ার জন্য সর্বাত্তক প্রস্ততি ইতিমধ্যেই শেষ করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, ১ সেপ্টম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশ ও ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিশাল জনসমাগ বাস্তবায়নে বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান। যাতে অংশ নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা। বুধবার বিকেলে নগরীর রাইফের ক্লাবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠক থেকে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রওনা দিবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আর এ জন্য ২৫০-৩০০টি বাসের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি ২ সেপ্টম্বর আওয়ামী লীগের সুধি সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্যও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্ততি গ্রহণ করা শুরু করেছে।
জানা গেছে, সমাবেশস্থলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্র থেকে নেতাকর্মীদের প্রতি ১০ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব সাংগঠনিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো–
১. সর্বাবস্থায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটে এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে।
২. যে কোনো বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/ইউনিটের প্রতি তাৎক্ষণিক, চূড়ান্ত ও স্থায়ী সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. সমাবেশে প্রবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৪. সমাবেশস্থলে কোনোভাবেই ব্যানার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
৫. স্বেচ্ছাসেবকদের সরবরাহকৃত উপকরণ ব্যতীত পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করা যাবে না।
৬. নির্ধারিত সময়ে গেট খুললে দ্রুততম সময়ে শৃঙ্খলার সাথে প্রবেশ করতে হবে।
৭. সমাবেশস্থলে একাধিকবার প্রবেশ ও বাহির হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৮. শারীরিক যে কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে মেডিকেল ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে।
৯. সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকার পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে সতর্ক থাকতে হবে।
১০. জনদুর্ভোগ পরিহার করতে হবে এবং অযথা যানজট সৃষ্টি না করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।