নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত ফতুল্লা মডেল থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাদীন ওয়াবদারপুল,খানপুর, সবুজবাগ,কায়েমপুর ও তল্লা এলাকায় মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের অবস্থান এখন চোখের পড়ার মতো। অত্র এলাকাগুলোর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ওরফে ধেন্দা হানিফ এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
দিনকে দিন অত্র এলাকাগুলোতে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ওরফে ধেন্দা হানিফ প্রভাব বিস্তার করে চলছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী ধেন্দা হানিফের মাদক বিক্রেতারা এলাকার অলি গলিতে ফেরি করে মাদক জাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট, গাজা সহ বিভিন্ন রকম মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। অন্যদিকে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী ধেন্দা হানিফের মাদক ব্যবসার কারনে নারায়ণগঞ্জ ও এর আশপাশ এলাকা থেকে সি.এন.জি, অটো রিক্সা, মটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার যোগে বহিরাগত লোকদের চলাফেরাও বেড়ে গেছে অত্র এলাকাগুলোতে।
জানা যায় উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ সকল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় আইনের আওতায় আসলেও জেল হাজত থেকে মুক্ত হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসার সাথে সম্পক্ত হয়ে যায় এবং যখনই থানা পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায় ঠিক তখনই এলাকার অবস্থা পূর্বের চেয়ে বেশী ভয়াবহ আকার ধারন করে।
অন্যদিকে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় উল্লেখিত আসামী ধেন্দা হানিফ কিশোরগ্যাং পরিচালনা করে যার ফলে এলাকার বাসীন্দারা তাদের মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে তাদের উপর অত্র কিশোরগ্যাং দিয়ে হামলা চালায় বলে জানা যায়। খানপুর, তল্লা ও সুবজবাগ এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, পুলিশ নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এটি আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। মাদকের সাথে জড়িত ব্যাক্তি যত ক্ষমতাবান হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা ইতোমধ্যে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদের তালিকা তৈরি করেছি এবং তাদের নজরদারিতে রেখেছি। মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।