নারায়ণগঞ্জের বন্দর খেয়াঘাটে খান মাসুদের নাম ব্যবহার করে অবৈধ ইজিবাইক,মিশুক ও অটোরিকশা থেকে চলছে রমরমা চাঁদাবাজি।
বন্দর থানার যুবলীগ নেতা খান মাসুদের নাম ভাঙিয়ে দিনের পর দিন রিক্সা প্রতি দশ টাকা করে আদায় করছে একটি সিন্ডিকেট।
বন্দর ঝাউতলার রিক্সাচালক আমিনুলের সাথে কথা বলে জানা যায়,বন্দর খেয়া ঘাটে খান মাসুদের দ্বারা নিয়োজিত কিছু লোক রিক্সা প্রতি ১০ টাকা করে আদায় করছে।টাকা দিলেই একমাত্র সিরিয়াল ছাড়া দাঁড়ানো সম্ভব হয়। আর টাকা না দিলে রিক্সা দাড়াতে দেয়া হয়না।
নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান,ঘাট পারাপার হওয়ার সময় রিক্সা নিয়ন্ত্রনের নাম করে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত মেয়েদের ইভটিজিং করে বেড়াচ্ছে। লোক লজ্জার ভয়ে চুপ করে মেনে নিচ্ছে তারা।
সরেজমিনে বন্দর খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে কিছু লোক রিক্সা থেকে যাত্রী নামার সাথে সাথে রিক্সাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে রিক্সাগুলো ঘুরিয়ে দিচ্ছে আর ১০ টাকা তাদের হাতে দিলেই একবারে ঘাটের সামনে পর্যন্ত দাড়াতে দেয়া হচ্ছে রিক্সাগুলোকে। অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় কোন মহিলা কিংবা মেয়েরা ঘাট পারাপার হওয়ার সময় বিভিন্ন প্রকার কু-দৃষ্টি সহ ইভটিজিংয়ের স্বীকার হচ্ছে।
এই সিন্ডিকেটের সুমন নামক একজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,খান মাসুদ সাহেব তাদের এখানে নিয়োজিত করেছে।রিক্সা,সিএনজি ও অটো প্রতি টাকা নিয়ে তাদের চলতে হয়।
খান মাসুদ সাহেব তাদের কোন বেতন দেয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাসুদ সাহেব আমাগো কোন বেতন দেয়না। তবে রিক্সা,অটো ও সিএনজি প্রতি যেই টাকা নেই সেটাই আমাগো বেতন।
সুশীল সমাজের দাবী অতিশীঘ্রই এই সকল সিন্ডিকেটের উপর পুলিশ-প্রশাসন,র্যাব,ডিবি যাতে ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে।
এব্যাপারে যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।