আমার নারায়ণগঞ্জ:
শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন ৫ আগস্ট বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জলকুড়ি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমানত (৪০)। বের হওয়ার সময় স্ত্রী হাসিনা মমতাজকে বলেছিলেন রাতেই ফিরে আসবো। এরপর থেকে আমানতের কোনো সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।
অবশেষে ৯ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সনাক্ত করা হয় তার লাশ। তাকে এমনভাবে গুলি করা হয়েছে যে পুরো মুখমণ্ডল ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। এ কারণেই তার স্ত্রী আরও একাধিকবার দেখেও স্বামীর লাশ চিনতে পারেনি। আমানতের খোঁজ পেতে ছাপানো হয় পোস্টার। অবশেষে ১৪ আগস্ট নিহতের খালা ঢাকা মেডিকেল মর্গে গিয়ে আমানতকে সনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ) রাত ৯টায় চাষাড়া শহীদ মিনারেল নামাজে জানাজা শেষে আমানতের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত আমানত নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আমানতের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, ৫ তারিখ বাসা থেকে বের হয়ে ও যখন আর ফিরেনি তখন থেকেই আমরা অনেক খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান পাইনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়েও খুঁজেছি। ওকে গুলি করা ছাড়াও এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে যে চেনাই যায়নি। ২-৩ বার আমরা মর্গে ওর লাশ দেখেও চিনতে পারিনি। তবে ওর খালা গিয়ে পরে লাশ শনাক্ত করেছে। কারণ বাবা মা মারা যাওয়ার পর আমানতকে ওর খালাই বড় করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দুই সন্তান। এখন আমরা কি করবো বলেন? কোথায় যাবো? সব তো শেষ হয়ে গেলো। আমাদের সন্তানরাও এতিম হয়ে গেলো। কারা কীভাবে এটা করেছে তা তো আর জানিনা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর জানা যাবে ওর মাথায় পুলিশের গুলি না অন্য গুলি।