নারায়নগঞ্জের বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফাকে চট্রগ্রাম রেঞ্জে বদলী করা হয়েছে। তার সঙ্গে থানার সেকেন্ড অফিসারসহ আরও তিনজনকে বদলী করা হয়। তারা ওসির সিন্ডিকেটের লাক হিসেবে পরিচিত। এরমধ্যে সেকেন্ড অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারীকে কুড়িগ্রাম ও এএসআই দ্বীন ইসলাম ও এএসআই ইকবালকে বদলি করা হয়েছে অন্যত্র।
গত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে এ বদলি আদেশ দেয়া হয়। এদিকে ওসিসহ ৪ জন অফিসারের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু বকর ছিদ্দিক।
জানাগেছে, গত ১৮ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়।
পরদিন ১৯ জুলাই রাতে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি সহ দুইটি পুলিশ বক্স ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দারেরকৃত দুইটি মামলায় সাংবাদিক, আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপির উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী একাধিক সাধারণ মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
শুর হয় তার আটক বাণিজ্য। যা সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় থাকতেও ব্যবপাকভাবে করেছে।
এদিকে পুলিশের দায়েরকৃত বন্দর থানার ৩১ ও ৩২ নং পৃথক দুটি মামলায় উপজেলা জুড়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ওসির ব্যর্থতায় ১৮ জুলাই রাত থেকে দুইদিন সশ্রস্ত্র অবস্থায় থানা কার্যালয় পাহারা দেয় বন্দরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী খান মাসুদ ও তার বাহিনী। আর পুলিশ থানার ভেতরে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে এলাকবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তারা বলেন, সন্ত্রাসীরা যদি পুরিশকে পাহারা দিয়ে রাখে তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?
ওদিকে ওসি গোলাম মোস্তফা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যোগদান করে নান বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন গোলাম মোস্তফা। তিনি দায়িত্ব পালনের চেয়ে ‘সামারি’ ভালো বোঝেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় থাকতে চোরাই জ্বালানি তেল ব্যবসায়ি, মাদক ব্যবসায়ি, ভুমিদস্য, পরিবহন চাঁদাবাজ, মোবাইল চোর সিন্ডিকেটসহ অপরাধীদের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া গ্রেপ্তার বাণিজ্য তার নেশা। বির্তকের কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে বদলীর আদেশ হয়। কিন্তু বদলীর খবর টেয়ে পেয়ে চতুর গোলাম মোস্তফা দেনদরবার করে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যোগদান করেন। সেখানে গিয়েও শুরুতেই বিতর্কের জন্ম দেন সন্ত্রাসীর কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে।