আমার নারায়ণগঞ্জঃ
পুরুষ রাষ্ট্রপতির দাবীতে এবং রাষ্ট্র ক্ষমতায় নারী পুরুষের ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়ে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সদস্য হাজী নাজমুল হাসান বারেক, সামিউল কুদ্দুস শেখ, মো. ওবায়দুর রহমান সহ সংগঠনের সদস্যরা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অত্র সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম।
এসময় আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পুরুষ রাষ্ট্রপতি চেয়ে সংগঠনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা উচিত। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমরা নারী পুরুষের ক্ষমতার ভারসাম্য দেখতে চাই।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি নারী, মাননীয় স্পীকার নারী, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রীও নারী। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারী পুরুষের ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য আগামী ১৯ শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পুরুষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার দাবী জানাচ্ছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, আপনার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আপনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তাই আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আপনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমান সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।
আপনি যাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করবেন তিনিই রাষ্ট্রপতি হবেন। জাতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারী পুরুষের ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য আপনি দেশের ৮ কোটি পুরুষ থেকে যাকে যোগ্য মনে করেন তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করুন।
তিনি আরো বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বিভিন্ন বক্তব্যে পুরুষ নির্যাতনের কথা বলেছেন। আপনার দল আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে নারীদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। নারী উন্নয়নে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল।
শিক্ষা-দীক্ষা এবং চাকুরীর ক্ষেত্রে নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। নারীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ফলে চাকুরী এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীরা দ্রুত উন্নতি করছে।
অপর দিকে পুরুষদের সুযোগ সুবিধা না থাকায় তারা উন্নতি করতে পারছে না, বিধায় অনেক নারী তার স্বামীকে ডিভোর্স দিচ্ছে। বর্তমানে শহর-গ্রামে ডিভোর্সের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। পরিবারগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের সন্তানরা।
অনেক উচ্চ শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত নারীর উপযুক্ত পাত্রের অভাবে বিবাহ হচ্ছে না। তাই সময় এসেছে পিছিয়ে পড়া পুরুষদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা। গবেষণায় দেখা গেছে শিশু মৃত্যুর হারের মধ্যে ছেলে শিশুর মৃত্যুর হার বেশি।
কিছুদিন পর দেখা যাবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা কমে গেছে। বেকারত্বের কারণে অনেক পুরুষের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই সময় এসেছে পিছিয়ে পড়া পুরুষদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এগিয়ে নেয়ার।