নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উপর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং চলাচলকারীদের সুবিধার্থে লাইট পোস্ট স্থাপন করা হলেও উদ্বোধনের কিছু দিন যেতে না যেতেই সেতুর অর্ধেক বাতি অকেজো হয়ে পড়ে। যে কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এইসব লাইট পোস্ট দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অকেজো হওয়ার ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিস্থিতি চললেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ওপর আলোকসজ্জার জন্য বাতির ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত সেতুর ওপরে ছোট-বড় যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় লোকজনসহ দর্শনার্থীরা। সেই সঙ্গে অন্ধকারাচ্ছন্ন সেতুর ওপর বখাটেদের ছিনতাই, মাদক সেবনসহ নানা অসামাজিক কাজের কথাও জানান তাঁরা।
বন্দর এলাকার আসিফ নামে একজন জানান, কিছুদিন পর কিছুদিন পর সেতুর ওপরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলের চালকদের সেতুর ওপরে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। সেতুর ওপরে বাতিগুলো সচল থাকলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত না।’
হামিদুর নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘সেতুর বাতিগুলো বন্ধ থাকায় সেতুর ওপর কিছু ছেলে-মেয়ে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলে আমাদের চোখে পড়লে খারাপ লাগে। আবার এলাকার বাইরে থেকে কিছু বখাটে ছেলে সেতুর ওপরে এসে অসামাজিক কার্যকলাপ করে। এতে আমাদের এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই সেতুর ওপরে বাতিগুলো যেন ঠিক করে দেয় এবং সেতুর ওপরে প্রশাসনিক টহল জোরদার করে!’
বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দর্শনার্থীদের পরিবার নিয়ে ঘোরাফেরার জন্য সেতুটি মনোমুগ্ধকর। কিন্তু সেতুটি অন্ধকার থাকায় তারা নিরাপত্তা হুমকি মনে করেন। যার ফলে সকলকে আতংক নিয়েই সেখানে চলাচল করতে হয়।