আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়নগঞ্জের শপিংমলগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বেড়েছে ক্রেতা সমাগমও। তবে ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।
শহরের সমবায় মার্কেট,আল-জয়নাল সুপার মার্কেট, মার্ক টাওয়ার, শান্তনা সুপার মার্কেট,আলমাছ পয়েন্ট,রিভারভিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের প্রথম দিকে ক্রেতা সমাগম কম থাকলেও এখন বেড়েছে। নিজেদের পছন্দের জামা-কাপড়, প্রসাধনী ও জুতা কিনিতে বিভিন্ন দোকানে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকছে।
সমবায় মার্কেটের কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা সরগম দোকানগুলো। কেনাবেচা ভালো হওয়ায় খুশি দোকানদাররা। নতুন জামা-কাপড় ও জুতার পাশাপাশি কসমেটিকস দোকান গুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি নিচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে অনেক দোকানে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট মূল্যের ছাড়।
ক্রেতা সোনালী শিকদার বলেন, ‘অল্প আয়ের মানুষের জন্য বর্তমান বাজারে কেনাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু অসাধু কাপড় ব্যবসায়ী বঙ্গ বাজার ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট আগুনে পুড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অতিরিক্ত মুনাফা নিচ্ছে।’
জেলা শহরের শান্তনা সুপার মার্কেটের মালিক তুলশি চরণ রায় বলেন,‘ক্রেতারা পরিবারসহ বাজারে আসলেও চড়া বাজার দেখে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে। দাম একটু কম হলে ভালোই ব্যবসা হতো।
শুধু বিপনী বিতানগুলোই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে নজর দিলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে নানা অনলাইন ভিত্তিক কাপড়, কসমেটিক্সের পেইজ গুলোতেও কসমেটিক্স থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, শাড়িসহ নানা পণ্য। বাইরে গিয়ে শপিংয়ের পাশাপাশি অনেকে এই অনলাইন ভিত্তিক পেইজগুলো থেকেও ঈদকে সামনে রেখে ক্রয় করছেন বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং ঈদে এসব অনলাইন ভিত্তিক পেইজেও দিচ্ছে আকর্ষনীয় মূল্যছাড়। যার ফলে ক্রেতারা শপিংমলের পাশাপাশি ঘরে বসে অনলাইন থেকে কিনছেন বিভিন্ন জিনিস।