আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা না হলেও লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
নিহত তিনজনের লাশ নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এবং একজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও নিহত ব্যক্তিদের লাশ নিতে আসেননি তাঁদের স্বজনেরা। পুলিশের পক্ষ থেকে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না। পুলিশ বলছে, সোনারগাঁয়ে বাঘরী বড় বিলে পিটুনিতে নিহত ব্যক্তিদের সবাই পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য। তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই ডাকাতি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা আছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তিরা হলেন সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের শেখেরহাট এলাকার জাকির হোসেন (৩৬), আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের আবদুর রহিম (৪৮) ও একই উপজেলার জালাকান্দী গ্রামের নবী হোসেন (৩৫)। নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী (৪৫)। তিনি রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।
এ সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসাইন আমার নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে জাকির হোসেনের নানাবাড়ি কাঁচপুর ইউনিয়নের সুখেরটেক গ্রামে। ঘটনাস্থল বড় বিল থেকে তাঁর নানাবাড়ি দুই কিলোমিটার দূরে। সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন। লাশ উদ্ধারের পর আমরা জাকিরের মামার বাড়ি ও বাবার বাড়িতে লোক পাঠিয়েছি। তাঁর পরিবারের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরে তাঁরা ফোন বন্ধ করে দেন। নিহত বাকি দুজনের বাড়িতেও লোক পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত কেউ লাশ নিতে আসেননি।’
এর আগে গতকাল দুপুরে সুখেরটেক গ্রামে জাকির হোসেনের নানার বাড়িতে যান এ প্রতিবেদক। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, জাকিরের নানা ও নানি মারা গেছেন। ওই ঘটনার পর তাঁর মামারা বাড়ি ছেড়েছেন। আর জাকির স্ত্রী–সন্তান নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থাকতেন।