আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন বুলবুল শেখ ও পারভেজ। চুরির দায়ে গত মঙ্গলবার তাঁরা চাকরিচ্যুত হন। এরপর দুই সহকর্মী পরিকল্পনা করেন, অটোরিকশা (মিশুক) ভাড়া নিয়ে ছিনতাই করবেন। পরিকল্পনামতো পরিচিত অটোরিকশাচালক রাজু খানকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। রাতে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করে দেন তাঁরা। পরে মিশুক বিক্রির ২৮ হাজার টাকা ভাগ করে নেন।
ফতুল্লায় মিশুকচালক রাজু হত্যাকাণ্ডে দুজনকে গ্রেপ্তারের পর রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব–১১–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাবের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
গতকাল শনিবার রাতে ফতুল্লার রেলস্টেশন এলাকা থেকে রাজু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুলবুল শেখ ও মিশুক কেনার দায়ে দোকানের মালিক সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। একই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া মিশুকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। এর আগে নিখোঁজের দুই দিন পর গত বৃহস্পতিবার ফতুল্লার পিলকুনি এলাকার একটি ডোবা থেকে মিশুকচালক রাজুর (১৯) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার টাগারপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বুলবুল শেখ ওরফে রাকিব (২৪) এবং ফতুল্লার পূর্বশাহী মহল্লা এলাকার সানাউল্লাহ। নিহত রাজু খান চাঁদপুরের ইসানবালা গ্রামের মোক্তার আহমেদের ছেলে। তিনি ফতুল্লার লালপুর সিরাজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ১৪ মার্চ ফতুল্লার পিলকুনি এলাকার ডোবা থেকে রাজুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরনের পোশাক দেখে লাশ শনাক্ত করেন নিহত ব্যক্তির মা। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর গতকাল রাতে ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুলবুল শেখকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফতুল্লার পূর্বশাহী মহল্লা থেকে সাইকেলের দোকানের মালিক সানাউল্লাহকে (৫২) গ্রেপ্তার করা হয় এবং ভুক্তভোগীর মিশুকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।