আমার নারায়ণগঞ্জ:
তিতাস গ্যাস কোম্পানির নারায়ণগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিকনিকের বিআটিসির দোতলা বাস দুর্ঘটনায় পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে উপজেলার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা সরণির কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোডে (তিনশ ফুট সড়কের) আন্ডারপাসের ছাদে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম আখিল। সে তার মা নিলুফার সঙ্গে পিকনিকে যাচ্ছিল। আহতরা হলেন তিতাস কর্মকর্তা রবিন লাল, শাকিল, শাভা, মিনহাজ, শরিফুল, নিলুফা, মনোয়ারা, রেহেনা, শুভ্রত, তানজিম, নজরুল ইসলাম, সুমাইয়া, শিরিন আক্তার, সর্ণা রানী, তানিয়া, জেরিন, শাহনাজ, আফরিনসহ অন্তত ২০ জন। আহত সবাইকে প্রথমে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে শুভ্রত, নিখিল, স্বরনা রানী ও মনোয়ারার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপঙ্কর চন্দ্র সাহা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বার্ষিক পিকনিকের জন্য রূপগঞ্জের সী-সেল পার্কের উদ্দেশ্যে বিআরটিসির দ্বিতল বাস যোগে রওনা দেন। সকাল ১০টার দিকে বাসটি কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে (শেখ হাসিনা সরনি) পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়ের সামনে সার্ভিস সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় আন্ডারপাসের ছাদে ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি বলেন, আহতদের প্রথমে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং নিলুফা ও তার ছেলে আখিলকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আখিল মারা যায়।

তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশনের নারায়ণগঞ্জ শাখার ডিজিএম প্রকৌশলী মামুন আর রশীদ বলেন, ‘আজকে আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বার্ষিক পিকনিক ছিল। সকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া থেকে তিতাসের নারায়ণগঞ্জ ডিভিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের মোট এক হাজার ২০০ লোক নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশ্যে রূপগঞ্জের সী-সেল পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হই। এরমধ্যে একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আমাদের এক সহকর্মীর সন্তান মারা গেছে।