আমার নারায়ণগঞ্জ:
সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। ভারী বর্ষণ হলে তো বলারই অপেক্ষাই রাখে না। হাঁটু সমান পানি মাড়িয়েই পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এখানেই বসবাস করতে হয়। সংস্কারে নেওয়া হচ্ছ না কোনো পদক্ষেপ। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
ভারী বর্ষণে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি পুরোটাই পানিতে তলিয়ে যায়। চারদিকের ময়লা পানি এখানে এসে জমে। ফাঁড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে কক্ষেও প্রবেশ করেছে পানি। থাকার জন্য প্রতিটি বেড তিন-চারটি ইট দিয়ে উঁচু করতে হয়েছে। এরপরও যেন ময়লা পানি থেকে রক্ষা হচ্ছে না।
পুলিশ সদস্যদের খাবারের জন্য ফাঁড়ির ভেতরে রান্না করতে হয় কাঠের মাচায়। একইসঙ্গে বর্তমানে আছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ময়লা পানিতে এডিস মশার লার্ভা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ডেঙ্গু ঝুঁকিতেও আছেন। যেকোনো সময়ে তারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। পাশাপাশি ময়লা পানি মাড়িয়ে চলার কারণে তাদের পায়ে চুলকানিসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সদস্যরা জানান, একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) এর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে পাঁচজন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছেন। এসব পুলিশ সদস্যদের এখানেই নিয়মিত থাকতে হয়। একইসঙ্গে রাতেও এখানেই ঘুমাতে হয়। বর্তমানে ফাঁড়িটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ময়লা পানি মাড়িয়ে একটি জরাজীর্ণ জায়গায় তাদের থাকতে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা এসআই নুর মোহাম্মদ আমার নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমাদের নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। মাঝখানে কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার শুরু হবে। সেই ভবন হলেই আমরা সেখানে স্থানান্তর হবো। আসলে নিচু এলাকা হওয়ায় বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। কয়েকদিন পর আবার পানি সরে যায়। বর্তমানে ফাঁড়ি সংস্কারের বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতনরা দেখছেন। আমরা নিজেরা চেষ্টা করছি বিষয়টি দ্রুত সমাধানের।
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম আমার নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ বলে না। আর বিষয়টি আমার অধীনে নয়। তবে ফাঁড়িটি অনেকদিন ধরেই সংস্কার হয় না। এখন নতুন করে স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। স্টেশন হলে তখন সবকিছুই আধুনিক হয়ে যাবে। এজন্যই হয়তো সংস্কার হচ্ছে না। কিন্তু স্টেশন নির্মাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যারা এখানে দায়িত্ব আছেন তাদের জন্য অস্থায়ীভাবে কিছু প্রয়োজন।