আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ইপিজেড এলাকায় দ্রুতগামী তেলবাহী লরির ধাক্কায় মোছা. পারভিন আক্তার (৩০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছেন তার সহকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদমজী-চাষাড়া সড়কের ইপিজেডের গেটের সামনে তারা এ অবরোধ করেন।
সড়ক অবরোধের ফলে ৩০ মিনিটের মতো যানচলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে ওই সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেপরোয়াভাবে ভারী যানবাহনের চলাচলের কারণে প্রায়ই এই সড়কে দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়। বুধবারও এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা। বিচার না হওয়ার কারণে দোষীরা বারবার পার পেয়ে যান। তাই তারা আজ সড়ক অবরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, শ্রমিকরা ১০-১৫ মিনিটের মতো সড়কে অবস্থান করেছিল। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিই।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪ (নারায়ণগঞ্জ) এর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তারা আইনি প্রক্রিয়া না বুঝে সড়ক অবরোধ করেছিল। গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় যার মৃত্যু হয়েছে তার এখনো দাফন সম্পন্ন হয়নি। পাশাপাশি এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলাও হয়নি। যদি পরিবার মামলা না করে তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়।
তিনি বলেন, দোষীদের পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা শ্রমিকদের বিচারের আশ্বস্ত করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার সকাল ৮টায় আদমজী ইপিজেডের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের খালাতো ভাই মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমার বোন পারভিন পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বুধবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি তেলের লরি ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পারভিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার শিবপুর গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে। বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় থাকতেন।