
নারায়নগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, বাড়ছে ছিনতাইসহ নানা রকম অপরাধ। এলাকার প্রতিটি অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে মাদক সিন্ডিকেট। মাদক বিক্রেতার কবলে পুরো এলাকা মাদক সেবনে সয়লাব। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতরা কৌশলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের মাঝে বিভিন্ন ধরণের মরণ নেশা মাদক পৌঁছে দেয়। যে কারণে ওই সব মাদক ব্যবসায়ীরা থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ এলাকার একাধিক মামলার আসামী ও মাদক ব্যবসায়ী নুর ইসলাম ওরফে নইচ্ছা প্রকাশ্য মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এলাকাবাসীর চোখে পড়েনি। সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী নুর ইসলাম হাজীগঞ্জ এলাকা ও আশপাশের সব স্থানে যুবকদের কাছে প্রকাশ্য মাদক বিক্রি আসছে। অন্যদিকে ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্য মাদক বিক্রি করছে যা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফলে যুবকদের বুক ফুলিয়ে হাজীগঞ্জ এলাকার অলিগলিতে মাদক সেবন করতে দেখা যায়।
এলাকা ব্যাপি উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা ধ্বংস হচ্ছে। এতে অভিভাবক মহল রয়েছে চরম বিপাকে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অনেকে চুরি ছিনতাই করছে। আবার কেউ মা-বাবার সাথে করছে অমানবিক খারাপ আচার-আচরণ। মাদকাসক্ত সন্তান মাদকের টাকার জন্য বাড়ির মালামাল ভাঙচুর বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কিছুতেই মাদকাসক্ত সন্তানদের মরণ নেশা মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারছেনা অভিভাবক মহল।
এলাকার বিশিষ্টজনদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এলাকায় কখনও দুপুরে, কখনও সন্ধ্যায় আবার কখনও গভীর রাতে ২/১ জনক অচেনা মোটরসাইকেল আরোহীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এরা হঠাৎ করে এলাকায় আসে আর হুটহাট করে চলে যায়। তাদের ভাষ্য, আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক বিক্রেতারা সুকৌশলে স্বল্প পুঁজিতে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার রমরমা ব্যবসা। অনেক সময় তাদের মাদক হাত বদলের জন্য কাজে লাগাতে হচ্ছে উঠতি বয়সী যুবক ও মহিলাদেরও। যাদের দেখে প্রশাসনের মনে হবে না যে এরা মাদক ব্যবসায়ী বা মাদক বহনকারী।
সমাজের বিজ্ঞমহলের অভিমত মাদকের নেশার কারণে সমাজে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে অনেক পরিবার। মা-বাবার সাথে সম্পর্কহানী ঘটছে সন্তানের। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও থামছে না মাদকের ব্যবসা। মাদক মামলায় আটককৃত ব্যক্তিরা কয়েকদিন ঘুরতে না ঘুরতেই জামিন পেয়ে যায় বিজ্ঞ আদালত থেকে। যার দরুন ওই সমস্ত মাদক বিক্রেতারা পুনরায় যুক্ত হয় মাদক কারবারীতে।