আমার নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার চনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম সৈয়দ মিয়া (৬০)। তিনি চনপাড়া পুনর্বাসনকেন্দ্র এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে জয়নাল গ্রুপের সাথে শমসের ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে সৈয়দ মিয়া নামের এক দিনমজুর গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

তারা জানায়, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার মাদককারবার থেকে শুরু করে নানা অপরাধের নিয়ন্ত্রণ করতো ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু। বজলু মৃত্যুর পর থেকেই আধিপত্য বিস্তার করতে জয়নাল গ্রুপ, ইয়াছমিন গ্রুপ, রায়হান গ্রুপ, শমসের গ্রুপ ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই এ গ্রুপগুলো আলাদাভাবে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আসছে।

এসব বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে। শুধু জয়নালের বিরুদ্ধেই হত্যাসহ নানা অপরাধের অভিযোগে ২৮টি মামলা রয়েছে। এসব বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে চায় না, প্রতিবাদও করতে চায় না।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে চনপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জয়নাল গ্রুপ ও শমসের গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে দুপুর ৩টার দিকে হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ চনপাড়া পুনর্বাসনকেন্দ্র এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, আহত সৈয়দ মিয়ার গলার নিচে গুলি লেগেছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।