আমার নারায়ণগঞ্জঃ
ক্র্যাচে ভর করে নীরব ভঙ্গিতে হেঁটে নারায়ণগঞ্জ আদালতে উঠেছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে আদালতে আনা হয়েছে।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকা মামুনুল হকের অনুসারীরা স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের দূরে সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন আমার নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান ও পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে। তাই মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত আছি।
তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। এ দিন চার্জশিটের ২৩ নম্বর সাক্ষী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিসুর রহমান, ২৪ নম্বর সাক্ষী এএসআই কর্ণকুমার হালদার ও ২৫ নম্বর সাক্ষী এএসআই শেখ ফরিদ সাক্ষী দিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত এ মামলায় মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারিতে রাখে। এরপর গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।