আমার নারায়ণগঞ্জঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমীর পুণ্যস্নান উৎসবে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা পরশুরামের প্রতি ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতি থেকে পাপ মোচনের আশায় দেশ বিদেশ থেকে পুণ্যস্নানে অংশ নিতে এসেছেন সব বয়সের নারী-পুরুষ।
এদিকে মহাতীর্থ স্নান উৎসবে পুর্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা।
উৎসব ঘিরে শান্তি শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। সিসি ক্যামেরার আওতায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পুরো তীর্থস্থান। বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়াচ টাওয়ার বসিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।
এ ছাড়া নদীতে দুর্ঘটনা রোধে নিয়োজিত রয়েছে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি টিম।
শুক্ল তিথি অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৯টা ১৯ মিনিট থেকে পুণ্যস্নানের লগ্ন শুরু হয়েছে। উৎসবের লগ্ন শেষ হবে বুধবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টা ৪৯ মিনিটে।
এই সময়ের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে এসে স্নান সেরে নিচ্ছেন আগত পুণ্যার্থীরা। পাপ মোচনসহ দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় প্রার্থনায়ও শামিল হচ্ছেন তারা।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই তীর্থ স্থানটিতে কয়েক লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে। তারা যাতে ধর্মীয় কাজ শেষ করে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরে যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এখানে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই স্নান উদযাপন করা হচ্ছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্নানের লগ্ন শেষ হলেও পুণ্যার্থীরা সবাই ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, এ ছাড়া পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাময়িক যানজট সৃষ্টি পরে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সম্মিলিতভাবে নিরসন করেছে। পুণ্যার্থীরা চলে যেতে শুরু করায় মহাসড়কও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করেছে।