র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা হতে ২০ বছর যাবৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৩ মার্চ ০৫.১০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন একটি গার্মেন্টস হতে দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ ইয়াছিন আরাফাত (৩৭)* কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ইয়াছিন আরাফাত (৩৭) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন ০৭নং একলাসপুর ইউপিস্থ মধ্যম একলাশপুর গ্রামের মৃত মোঃ আক্তারুজ্জামানের ছেলে। গ্রেফতারকৃত মোঃ ইয়াছিন আরাফাত ২০০৬ সালে চাঞ্চল্যকর সেন্টু হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। বর্ণিত আসামী উক্ত মামলায় প্রায় আড়াই বছর কারাগারে আটক ছিল। পরবর্তীতে আসামী জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যায়। বর্ণিত আসামী তার নাম পরিচয় গোপন করে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকার একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিল।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসামীর পরিচয় সনাক্ত করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পূর্বক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।