আমার নারায়ণগঞ্জঃ
মশার কামড়ে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিন নেই, রাত নেই, প্রতিমুহূর্তেই চলছে এদের অত্যাচার। বাসতবাড়ি, খেলার মাঠসহ সর্বত্রই মশার উপদ্রব। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার অবস্থা এখন এমনই। মশার উৎপাত এতটাই বেশি যে জানালা-দরজা খুলে রাখার উপায় নেই। ইদানীং এক জায়গায় বসলেই একসঙ্গে অগণিত মশা ঘিরে ধরে। একটা মারছি তো আরেকটা কামড়াচ্ছে, তেমন অবস্থা। মশার অত্যাচারে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালগুলোও। কয়েল, স্প্রে বা মশা মারার ব্যাট—কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। মশার অত্যাচারে ছাত্রছাত্রীরা সুষ্ঠুভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। মশার উপদ্রব যেভাবে বাড়ছে, তাতে রোগবালাই মহামারি আকার ধারণ করবে।
মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে দিনের বেলা কয়েল জ্বালিয়ে নারায়ণগঞ্জের গৃহিনীরা এভাবেই সেরে নিচ্ছেন তাদের নিত্যদিনের কাজ। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও নেই স্বস্তিতে। পড়ার টেবিলের নীচে সারাক্ষণ কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের। শিশুদের রাখতে হচ্ছে মশারির ভেতর।
নগরীতে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বলেছেন, নগরজুড়ে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আর এই জনপ্রতিনিধি বলছেন, মশা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ প্রকৃতির বৈরিতা।
চিকিৎসকরা বলছেন, মশার কামড়ে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, মশা নিধনে ব্যবহৃত কয়েল কিংবা কীটনাশকও বাড়াতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
মশার উপদ্রব কমাতে ড্রেন ও নালায় জমে থাকা ময়লা নিয়মিত পরিস্কারের সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিকরা।