
আমার নারায়ণগঞ্জ:নারীরা সমাজের সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে তা লক্ষ্যণীয় বটে। তাই বলে মরণনেশা ইয়াবা তথা মাদক ব্যবসার মতো অপকর্মেও নারীরা এগিয়ে যাবে এটা কারও কাম্য নয়। অথচ এমনটিই হচ্ছে। প্রাচ্যেরডান্ডি জেলা নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকায় বর্তমানে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বেশ কয়েকজন নারী। যাদের কেউ কেউ মাফিয়া ডনের মতো করে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করছেন। নারী হওয়ার সুবাদে প্রশাসন থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন পর্যায় থেকেও পাচ্ছে নানা সুযোগ ও সহানুভূতি। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়েই অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।
সম্প্রতি কয়েকদিন নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ও স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়নগঞ্জে পুরুষ মাদক ব্যবসায়ীরা আড়ালে থেকে এখন নারীদের দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিছু এলাকায় এক শ্রেণির মাদক ব্যবসায়ী কৌশল পাল্টে তিন-চারটি বিয়ে করছে তার স্ত্রীদের দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য। অনেক পরিবারে সব মেয়েরাই মাদক কারবারে জড়িত। এ ছাড়াও কোনো বাধা ছাড়াই মাদকের চোরাচালান বহন ও বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে অনেক নারীকে নানা কৌশলে জিম্মি করেও মাদক ব্যবসায় বাধ্য করা হয় বলেও জানা গেছে।
পারিবারিকভাবে অনেকেই স্বামীকে ব্যবসায় সহায়তা করতে গিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী খেতাব পেয়েছেন। শহরের প্রায় শতাধিক পয়েন্টে ইয়াবা, হেরোইন ও ফেনসিডিল ব্যবসায় এরা তৎপর।
মাদক পরিবহনকারী এসব নারীর সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে। বোরকা পরে স্কুল-কলেজের ছাত্রী বেশে ব্যাগে করে এরা মাদক আনা নেওয়ার কাজ করেন।
অভিযোগ উঠেছে, পুলিশি ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর এসব নারী ব্যবসায়ীরা দিব্যি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশের দুর্বল চার্জশিটের কারণে এরা ক’দিন জেল খেটে জামিনে ছাড়া পেয়ে আগের ব্যবসাতেই মনোনিবেশ করছেন।