
আমার নারায়ণগঞ্জ:
প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ফতুল্লার মাসদাইর পাকাপুলস্থ জুয়ারী মুন্নার পরিচালনায় নিজ বাড়িতে প্রতিনিয়তই চলছে রমরমা জুয়ার আসর। জুয়া ছোট শব্দ হলেও মানুষকে নিঃস্ব করার অসীম ক্ষমতা রয়েছে। জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। ওয়ান-টেন, তিন তাস, কাটা-কাটিসহ নানা নামে চলছে জুয়া। এতে ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়ারী মুন্না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় ফ্লাট বাসায় জুয়ার আসর বসাচ্ছে ছানারিল হাসান মুন্না নামে এক ব্যক্তি। সেখানে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলার আসর বসে। জেলা শহরের বাইরে থেকেও প্রাইভেট গাড়ি পাঠিয়ে খেলোয়াড় সংগ্রহ করার পরই টাকার ব্যাগ নিয়ে দাঁড়ায় ওয়ান টেন বোর্ডের সামনে। সেখানে শেষ রাত পর্যন্ত চলে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা। এসকল জুয়ার আসরে অবাধে চলে মাদক সরবরাহ।
অনুসন্ধানে জানা যায়- পাকাপুল এলাকার ছানারিল হাসান মুন্নার পরিচালনায় বসছে এ জুয়ার আসর। এ জুয়ার আসরে মূলত ওয়ান-টেন খেলাটাই বেশি জনপ্রিয় বলে জানা যায়। জুয়াড় আসর বসানোর পর সড়কের দুই মাথায় ক্যাডাররূপী যুবকদের পাহারার দায়িত্ব দেয়া হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাসদাইর বেকারী মোড় সাকিনস্থ স্বপন মিয়ার বাড়ির দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পার্শ্বের রুমে অভিযান চালিয়ে জুয়া পরিচালনাকারী মুন্নাসহ ১২ জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
আরো জানা যায়, ২০২৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ফতুল্লা থানা সীমান্তের মাসদাইর পাকাপুলস্থ মুন্নার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলারতবস্থায় মুন্নাসহ ১৯ জুয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়।