
আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মঙ্গলখালি এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এ অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, যা কারখানা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পরিশোধ করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম।
তিনি জানান, কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি ও শীতলক্ষা নদীর তীর দখল করে রেখেছে। পাশাপাশি ইটিভি (ইটিপি) প্ল্যান থাকা সত্ত্বেও তা চালু না করে বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলছে।
দূষিত বর্জ্য স্থানীয় রাস্তায় পিকআপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় আশপাশের গাছপালা নষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, কারখানাটির পরিবেশ ছাড়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র থাকলেও প্রায় ১১ বছর ধরে তা নবায়ন করা হয়নি। প্রমাণিত হয় যে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুতর অবহেলা করা হয়েছে। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকা জরিমানা করে এবং কারখানার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করা হয়। অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে কাগজপত্র যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক টিটু বড়ুয়া এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এস এম নেয়ামুল বারী দাবি করেন, কারখানার কার্যক্রম সব নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন রয়েছে এবং নিয়মিতভাবে সরকারকে রাজস্বও প্রদান করা হচ্ছে। তার ভাষ্য, এলাকার অন্যান্য কারখানার তুলনায় তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত, আর লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণও আধুনিক প্রযুক্তিতে সম্পন্ন হয়, যা দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে।