
আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়নগঞ্জে নদী দখলের মতো দখল হয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জায়গা। প্রভাবশালীদের দখল-বাণিজ্য চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। নারায়নগঞ্জের উকিলপাড়া থেকে গলাচিপা রেললাইনের কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কাঁচা-পাকা স্থাপনা। সেখান থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। বিভিন্ন সময় পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানের পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভশনাল এস্টেট অফিসার মো. সফি উল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া খানমের নেতৃত্বে নগরীর দুই নম্বর রেল গেইট এলাকা থেকে চাষাঢ়া রেল গেইট পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় রেল লাইনের দুই পাশে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ও আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
এদিকে, বছর না ঘুরতেই রেলওয়ের উচ্ছেদ করা সেই জায়গা আবার দখল হয়ে গেছে। শতকোটি টাকার এই সম্পত্তি নামে, বেনামে দখল করে দোকানপাট-মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন নামের মার্কেট। আর একটি চক্র কোটি কোটি টাকা সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উকিলপাড়া রেল স্টেশনের দুই পাশে জমি দখল করা হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন দখলদাররা। রোড স্টেশন সংলগ্ন জমিতে রয়েছে অর্ধশতাধিক দোকান ও স্থাপনা। নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মাধ্যমে নামকাওয়াস্তে লিজ ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে এসব জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় একটি চক্র। তাতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, উকিলপাড়া থেকে গলাচিপা রেললাইন পর্যন্ত রেলওয়ের খালি জায়গায় আগে থেকেই কিছু দোকান বসত। সর্বশেষ কিছুদিন আগে দোকানগুলো উচ্ছেদ করে রেল কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদের কয়েক দিন পরেই আবার প্রভাবশালী রেলওয়ের লোকজন মিলে কাঁচা-পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছে।