আমার নারায়ণগঞ্জ:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় আগুনে পুড়ে বন্ধুর মৃত্যুতে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক এমপি এ কে এম শামীম ওসমানের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী যুবক।
প্রায় দশ মাস পর আহত অবস্থায় বেঁচে ফেরা ওই যুবক বন্ধুর হত্যার অভিযোগ এনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গত ২২ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান।
বাদী আব্দুল হামিদ চৌধুরী জানান, ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই তিনি এবং তার বন্ধু সুহেল আহমদ (২১) সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জের চট্টগ্রাম রোড এলাকায় টাইলসের কাজ করতে আসেন। তারা ‘সুপিরিয়র ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন এবং প্রিয়ম নিবাস (ইব্রাহিম খলিল শপিং কমপ্লেক্স)-এর ২য় তলায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের কাজ করতেন। সারাদেশে ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তীব্র হওয়ায় সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
২০ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির কাজ বন্ধ রেখে সেখানে অবস্থান নেওয়া কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এবং সাবেক এমপি শামীম ওসমানের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের কোটা বিরোধী অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জন দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঘটনার সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় আব্দুল হামিদের বন্ধু সুহেল আহমদের। আহত অবস্থায় হামিদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কয়েকদিন পর ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ভিতর থেকে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুহেল আহমদের মরদেহ।
ঘটনার দীর্ঘ সময় পর ২০২৫ সালের ২২ মে বাদী আব্দুল হামিদ চৌধুরী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদী জানান, ঘটনার সময় তিনি সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।