আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন সর্বত্রই মাদকে রমরমা ব্যবসা চলছে। পাড়া মহল্লা অলিগলি এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের বিচরণ নেই। আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে শপিংমল কিংবা পাড়া মহল্লা, সড়কের আশেপাশের টং দোকানেও মাদকের বেচাকেনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সামান্য উদ্ধার করলেও সিংহভাগই থেকে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে। এতে উঠতি বয়সী তরুণরা বিপথগামী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটছে।
আমার নারায়ণগঞ্জের এই প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন, নারায়নগঞ্জ চাষাড়া রেল স্টেশন এলাকাটি যেন মাদকের স্বর্গরাজ্য। প্রতিটি জায়গায় অল্প বয়সী তরুণদের ভিড়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এসব গলিতে চলে মাদক ব্যবসায়ী রাজ্জাকের মাদকের বেচাকেনা।
এলাকাবাসী বলেন, এখানে প্রতি রাতে কয়েক কোটি টাকার ইয়াবা বিক্রি হয়। সাধারণত সন্ধ্যার পর এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেউ আসেন না। তবে তারা গাড়ি নিয়ে বড় রাস্তায় থাকেন।
জানা গেছে, চাষাড়া রেল স্টেশন ও ইসদাইর এলাকায় মাদক ব্যবসার নেপথ্যে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। এজন্য পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের গাছাড়া ভাব। পান নিয়মিত বখরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশ মাঝে মধ্যে এসব স্পটে অভিযান চালালেও মূল হোতা কখনও ধরা পড়ে না। মাঝে মাঝে ধরা পড়ে বিক্রেতা ও সেবনকারী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই এলাকার পুরো মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন মাদক ব্যবসায়ী রাজ্জাক ও দলবল। তিনি আশপাশেই থাকেন এবং মোবাইল ফোনে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। কেউ গ্রেফতার হলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন এই মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়া মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন আয়েশা নামের আরেকজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইচ্ছা করলেই বন্ধ করে দিতে পারে। অভিভাবকরা বলেন, প্রকাশ্যে মাদক বেচনাকেনা হয়। সন্তানদের পাহারা দিয়েও মাদকের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। পিতার চোখের সামনে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সন্তান। অনেক সময় মাদক কেনার টাকা না পেয়ে সন্তানের হাতে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন অনেক বাবা-মা। কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না।