আমার নারায়ণগঞ্জ:
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বাসের ভাড়া ৫৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ টাকা, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া বাস্তবায়ন এবং এসি বাসসহ সব রুটের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবিতে মশাল মিছিল হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের উদ্যোগে এই মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মিছিলটি শহরের নগরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দুই নম্বর রেলগেট হয়ে কালীরবাজারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে বাস ভাড়া কমানোর জন্য জোড় দাবি জানানো হয়। নাহলে ১৭ নভেম্বর হরতালের ঘোষণা বহাল থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংগঠনের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা (লিংক রোড হয়ে) রুটে বাস ভাড়া ৪৫ টাকা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে পাগলা-পোস্তগোলা হয়ে ঢাকা, চিটাগাং রোড, সোনারগাঁয়ের পঞ্চমীঘাট, পানাম, তাজমহল রুটের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। ছাত্রদের জন্য অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে বিআরটিসি এসি বাসের ভাড়া ৬০ টাকা এবং এই রুটের বেসরকারি সব এসি বাসের ভাড়া ৬৫ টাকা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে পরিবহন নিয়ে অরাজকতা দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন সেক্টরের মতো এই পরিবহন খাতটি ছিলো ওসমান পরিবারের চাঁদাবাজির অন্যতম উৎস। পরিবহনের মাফিয়া সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সাধারণ যাত্রীদেরকে জিম্মি করে রেখেছে। আমাদের দাবি না মানলে হরতালের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আর এই হরতাল হবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর প্রথম হরতাল। আশা করি হরতালের আগেই আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হবে।
মশাল মিছিলে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ন্যাপ নেতা অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, জেলা গণসংহতির সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।