নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন আমলাপাড়া এলাকায় চলছে মাদক ব্যবসায়ী সুমন ওরফে হিজলা সুমনের ইয়াবার রমরমা মাদক ব্যবসা। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ী সুমন ও তার সহযোগীরা। আর পুলিশসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা। ফলে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাদক ব্যবসায়ী সুমনের ওরফে হিজলা সুমনের এই ব্যবসার প্রসারতা।

অধিক লাভজনক ও বহনে সহজতর হওয়ায় দিন দিন নতুন নতুন যুবক-যুবতী ঝুকে পড়ছে এই ইয়াবা ব্যবসায়। বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অনুসন্ধানে জানা যায়, সদর থানাধীন আমলাপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী সুমন ওরফে হিজলা সুমন তার একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে খানপুর,মেট্রোহল,মিশনপাড়া,ডনচেম্বার,কালিরবাজার ও চাষাড়ায় ইয়াবা ব্যবসার নেটওয়ার্ক স্থাপন করে গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে এই মাদক ব্যবসা। ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বেকার তরুণ যুবক-যুবতীরা সহজলভ্যতার কারণে ইয়াবা সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিভিন্ন শ্রেণীর বাসিন্দা,এলাকার মুরুব্বিরা ও এলাকার অটোরিকশা চালকরা জানিয়েছে এসব তথ্য। কয়েক বছরের মধ্যেই নারী মাদক ব্যবসায়ী সুমন ওরফে হিজলা সুমনের মাদক ব্যবসার ব্যাপক বিস্তার করে ফেলে সদর থানাধীন বেশ কয়েকটি এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, মাদকের খুচরা ও পাইকারীসহ হোম ডেলীবারি সার্ভিস দিয়ে থাকে মাদক ব্যবসায়ী সুমন ওরফে হিজলা সুমন।

এর আগেও বেশ কয়েকবার এ মাদক ব্যবসায়ী মাদকসহ, হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা শুরু করেছেন।

আমলাপাড়ার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইয়াবা ব্যবসায়ী সুমনের খুব কাছের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী আমার নারায়ণগঞ্জকে জানায়, ইয়াবা ট্যাবলেট হোম ডেলিবারী করা ও পাইকারী বিক্রয় করাই সুমন ওরফে হিজলা সুমনের মূল ব্যবসা।

এলাকাবাসীর অভিমত, একাধিক মাদক মামলার আসামি থাকার পরও সুমন অনেকটা প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা এবং এলাকা বিস্তৃত হয়ে উঠছে মাদকের স্বর্গরাজ্যে। মাদক ব্যবসায়ী সুমন ও তার সহযোগীদের ভয়ে কেউ এসবের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতেও সাহস পায় না বলে জানায় আমলাপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাগন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, মাদক কারবারিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়াও যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা করছে অভিযান চালিয়ে তাদের খুব দ্রুত আটক করা হবে।