1. info@amarnarayanganj.com : Amar Narayanganj : Amar Narayanganj
  2. admin@amarnarayanganj.com : unikbd :
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন

হত্যা মামলার আসামী ছেড়ে দিলেন এসআই কামরুল

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৮৪ বার পঠিত

আমার নারায়ণগঞ্জ:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনার মামলার এজাহার নামীয় আসামী মিজান কে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা জুড়ে বিতর্কিত ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস,আই) কামরুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সর্ব মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়। মিজান ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর মাসদাইরের সাত্তার মিয়ার পুত্র।

জানা যায়, শনিবার রাত আটটার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় আগস্ট মাসে ফতুল্লা থানায় কামাল হোসেনের দায়ের করা মামলার (মামলা নং-২৩) এজাহারনামীয় ৪৪ নাম্বার আসামী মিজানকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক এস,আই কামরুল। তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এলে ছাড়িয়ে নিতে শুরু হয় জোড় তদ্ধবির। এক পর্যায়ে গভীর রাতে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় গ্রেফতারকৃত মিজানকে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করলে ও ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উপপরিদর্শক কামরুল জানায়, তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন। তিনি শুধু গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছেন। তারপরের বিষয়ে কি হয়েছে তিনি কিছুই জানেন না।

এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন উপপরিদর্শক মো. কামরুল হাসানা পিপিএম। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর মুহুর্মহু গুলি বর্ষেণ ও ছাত্র-জনতাকে হত্যারও অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও গত ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিম টাওয়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জামায়েত—বিএনপি সন্দেহে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে অসংখ্য মানুষকে নাশকতাকারী আখ্যা দিয়ে আটক করে এই কামরুল হাসান। অভিযোগ আছে ২০ থেকে ২৫ জন আটক ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে সে।

বিশেষ করে মিজমিজি এলাকা থেকে ৯ জন ব্যক্তিকে আটকের পর তাদের মধ্যে ৬ জনের পরিবারের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা এবং অপর তিন জনের পরিবারের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা উৎকচ হিসেবে হাতিয়ে নেয় সে। যদিও গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কামরুল হাসান ৬ জনের কাছ থেকে গ্রহণ করা ১৮ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা ফেরৎ দিলেও অপর তিন জনের টাকা এখনো ফেরত দেননি তিনি।

প্রসঙ্গত: যে বিগত দুই দশকের ও বেশী সময় ধরে কামরুল নারায়নগঞ্জ জেলাতেই রয়েছে ফতুল্লা মডেল থানায় কনেস্টবল থেকে, এ,এস,আই পরবর্তীতে এস, আই হিসেব একাধিক বার কর্মরত ছিলেন। জেলা গোয়েন্দা বিভাগ(ডিবি) তে ও ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন।

মাঝে কয়েকটা বছর তিনি ফরিদপুর ও নরসিংদিতে ছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে আন্দোলনকারীদের ওপর বোশ আগ্রাসী ভূমীকায় অবতীণ হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সে আওয়ামী সরকারের শাসনামলে সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের স্ত্রী লিপি ওসমান ও পুত্র অয়ন ওসামনের সাথে সখ্যতা রেখে তাদের নির্দেশনানুযায়ী তৎকালীন বিরোধীদল বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন সহ মামলা দিয়ে হয়রানী করে বেড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই কর্মকতা কি করে নারায়নগঞ্জ জেলাতেই কর্মরত তা নিয়ে সর্বত্র হচ্ছে সমালোচনা।

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ

ক্যালেন্ডার (আর্কাইভ)

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
All Rights Reserved by Amar Narayanganj
Developed By UNIK BD