আমার নারায়ণগঞ্জঃ
ফতুল্লার শাসনগাও বিসিকস্থ মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই যুবককে আটকে রেখে টাকা দাবীসহ মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জরুরী সেবা -৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাচঁ জনকে গ্রেফতার সহ উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতনের শিকার দুই যুবক কে।
নির্যাতনের শিকার দুই যুবক হলো লালমনির হাট জেলার আদিত মারি থানার ভেলাভরির নুর আমিন মিয়ার পুত্র মোঃ ফরিদ (১৮) ও একই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের পুত্র
ইলিয়াস হোসেন রিংকু (২৪)। তারা উভয়েই আপন চাচাতো ভাই। নির্যাতনের শিকার ফরিদ বিসিকস্থ নিউ কালার জনি প্রিন্ট কারখানায় এবং রিংকু এম,এস ডাই প্রিন্ট এন্ড ফিনিসিং নামক কারখানায় কাজ করে বলে জানায় তারা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ দিকে পুলিশ বিসিকস্থ কাদের-খালেকের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারসহ উদ্ধার করে নির্যাতনের শিকার দুই যুবককে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো লালমনির হাট জেলার আদিতমারি থানার মৃত আশরাফুলের পুত্র মজিদ মিয়া (১৮), একই থানা এলাকার মোবার রহমানের পুত্র মোঃ নুর নবি (২০), জামাল উদ্দিনের পুত্র রুবেল মিয়া (১৯), আশরাফুল আলমের পুত্র মোঃ আল আমিন ও ফতুল্লা মডেল থানার বিসিক পাচতলা মোড়স্থ রহমত মিয়ার ভাড়াটিয়া মৃত সাইদুর রহমানের পুত্র শান্ত (১৯)।
নির্যাতনের শিকার ফরিদ ও রিংকু জানায়, তারা সকলেই একই সাথে একই বাড়ীতে একই রুমে ভাড়ায় বসবাস করে বিসিকস্থ বিভিন্ন পোষাক তৈরি কারখানায় কাজ করে আসছিলো। তবে শান্ত একই এলাকায় ভাড়া থেকে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত চারটার দিকে তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গ্রেফতারকৃতরা সহ আরো ৩-৪ যুবক। তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে মোবাইল চুরি করার অপবাদ দিয়ে তাদের মারধর করতে থাকে। কোমরের বেল্ট, লাঠি এবং লোহার পাইপ দিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করা হয় বলে জানায়।
এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের জন্য ৬০ হাজার টাকা দাবী করে তাদের পরিবারের নিকট মোবাইল ফোন করা হয়। যখন পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হচ্ছিলো তখন তাদের কে মারধর বৃদ্ধির পাশাপাশি চিৎকার করে কান্না করতে বলা হয়। পরে পুলিশ বেলা ১২ টার দিকে গিয়ে তাদের কে উদ্ধারসহ ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানায়, নির্যাতনের শিকার দুই যুবকের পরিবার জরুরী সেবা ৯৯৯- এ ফোন করে। সেই ফোনের সূত্র ধরে বেলা ১২ টার দিকে বিসিক পাচতলা মোড়স্থ কাদের- খালেকের ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের শিকার দুই যুবক কে উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় ৫জনকে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।