আমার নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের প্রায় প্রতিটি সড়কে এবং পাড়া-মহল্লায় বেড়েছে ছিনতাইকারীদের উৎপাত। আগে থেকেই এ ধরনের ছিনতাই চলতে থাকলেও মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ ছিল ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য।
কিন্তু এখন আবারো নতুন করে পুরোদমে শুরু হয়েছে ছিনতাই। শুধু ছিনতাই করেই এখন ক্ষান্ত হয় না ছিনতাইকারীরা।
একই সাথে আক্রান্তদের ছুরিকাঘাত করা, তাদের মারধর করা এমনকি হত্যা করার মত লোমহর্ষক ঘটনাও ঘটছে।
জানা যায় সম্প্রতি,গত ২৯ জানুয়ারি ভোর ৪ঃ৪৫ সময় হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের সম্মুখে পড়েন দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ খান। তার ভাষ্যমতে হাসপাতাল থেকে ফিরছিলাম।
আমাদের মিশুক ধরতে না পেরে ছিনতাইকারীরা ২টা মটর সাইকেল নিয়ে পানির টাংকি পযন্ত ধাওয়া করে, মোটর সাইকেল গুলা লোকানো রাখছিলো বের করতে হয়তো দেরি হইছে ওদের, আর পানির টাংকি পযন্ত আসতে পারায় আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছি তাই আর কিছু করতে পারে নাই, একটা দোকান খোলা ছিলো সিগারেট কিনার ভান করে চলে গেছে।
তিনি আরো বলেন,দেওভোগ আখড়া বিসমিল্লাহ ফার্মেসির সামনে আইলেন এর দিকে বট গাছের চিপায় ওরা পলাইয়া অবস্থান করে।ভোর ৪.৪৫ টার দিকে হবে। নারায়ণগঞ্জ সদর মেয়র মহোদয়ের বাড়ির সামনেই যদি এগুলা হয় তাহলে অন্য অন্য জায়গায় মানুষেরা কত অনিরাপদে আছে খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জ-সাইনবোর্ড রোডের সিএনজি চালক মো. আলী জানান, তিনি দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এ সড়কে সিএনজি চালান কিন্তু নারায়ণগঞ্জের লাইনের যে সকল গাড়ি রয়েছে সেগুলি এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত হয় না। মূলত মুন্সিগঞ্জসহ নারায়ণগঞ্জের বাইরের সিএনজিগুলো সাময়িক সময়ের জন্য এখানে গাড়ি চালাতে এসে এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়।
এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানিয়েছেন, ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে শহরে সাদা পোশাকে নেমেছেন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। শহরে যেন আর ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ঐ টিমের সদস্যরা সাদা পোশাকে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছেন।