নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দুদকের হটলাইনে (১০৬) ফোন দিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। তাদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ফতুল্লা ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় আল সাবাহ গলিতে ৪/৫ বাবুল বেপারী ও কামাল বেপারীর মালিকানাধীন বাড়িতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক বেলায়েত হোসেন, উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলম মিয়া, সহকারী পরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস দপ্তর, ফতুল্লা মডেল থানার একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিন দেয়া যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ভুঁইয়া পাড়া এলাকায় আল সাবাহ গলিতে ৪/৫ বাবুল বেপারী ও কামাল বেপারীর মালিকানাধীন বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রথমে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের বিল পরিশোধের রশিদ চাওয়া হলে তারা নির্দিষ্ট তথ্য প্রদানে গ্রাহকের বিলম্ব হয়। পরে একপর্যায়ে গ্রাহক রশিদ সংক্রান্ত তথ্য দিলে ৪তলা ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযুক্ত বাবুল বেপারী ও কামাল বেপারীর মালিকানাধীন বাড়িতে ৯টি তিতাস গ্যাস লাইনের অনুমোদন দেয়া হলেও অনুমোদনকৃত নয়টি সংযোগের বাইরেও অভিযান টিম কর্তৃক অধিক অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযান হওয়ার তথ্য পেয়ে বাড়িওয়ালা কর্তৃক গ্যাস চুলার সাথে অবৈধ সংযোগ বিছিন্ন করার প্রমান মিলেছে দুদক ও তিতাস কর্মকর্তাদের কাছে। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নেতৃত্বে তিতাস কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত বাবুল বেপারী ও কামাল বেপারীর মালিকানাধীন বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃপক্ষ লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আমাদের কাছে জরুরী হটলাইনে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মঙ্গলবার অভিযান পরিচানা করি ফতুল্লা ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় আল সাবাহ গলিতে ৪/৫ বাবুল বেপারী ও কামাল বেপারীর মালিকানাধীন বাড়িতে। এ সময় আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চুলা থেকে গ্যাসের লাইন সংযোগ বিছিন্ন করার প্রমাণ পেয়েছি। অনুসন্ধান করে দেখা যায় তাদের চার তলা বাড়িতে ৯টি গ্যাসের লাইনের অনুমোদন দিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা অবৈধভাবে ১৪টি সংযোগ অতিরিক্ত ব্যবহার করে আসছিলো। ভবনের প্রথম তলায় ৪টি ফ্লাটে ৪টি সংযোগ, দ্বিতীয় তলায় ৪টি ফ্লাটে ৪টি সংযোগ, তৃতীয় তলায় ২টি ফ্লাটে ২টি সংযোগ ও চতুর্থ তলায় ৪টি ফ্লাটে ৪টি সংযোগ স্থাপন করেছেন বাড়ির মালিক।
দুদক জানায়, এর আগের তিতাসের একটি টিম এই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে আমরা তাদের গ্যাস লাইনের রাইজার খুলে দিয়ে সিলগালা করে দিয়েছি। পরবর্তীতে সংযোগ পুনরায় ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন বাড়ির মালিক কর্তৃপক্ষ