আমার নারায়ণগঞ্জঃ
মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধভাবে অসহায় নিরীহ এক নারীর বাড়ি দখলের পায়তারা। থানায় অভিযোগ, জিডি, মামলা করেও সুরাহা পাচ্ছেন না সেই অসহায় নারী। তাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন সন্ত্রাসী গংরা।
ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার পাগলা নয়ামাটি এলাকার আলমগীর খন্দকারের স্ত্রী অসহায় নারী ফরিদা বেগমের সাথে। তার বাড়ির টয়লেট, রান্নাঘর ও চলাচলের রাস্তা আটকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।
মানবেতর জীবনযাপন করা সেই অসহায় নারী ফরিদা বেগম জানান, আমি এই বাড়ির জমি ক্রয় করার পর থেকেই কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম নয়ামাটি কবরস্থান এলাকার আজগর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), লিটনের স্ত্রী নুর নাহার (৪৫), আজগর আলীর স্ত্রী জাহানারা (৬৬), মানিকের স্ত্রী রাজিয়া (৪০), মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে লিটন (৫৫), মৃত ইসমাঈলের ছেলে গুলু ইব্রাহিম (৪৮), রোজিনা (৪৫), মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন একত্রিত হয়ে আমার বাড়ি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছেন। আমি এখন অসহায় হয়ে থানা পুলিশ ও আদালতে দৌড়াদৌড়ি করছি। আমার বাড়ির টয়লেট, রান্নাঘর ও চলাচলের রাস্তা আটকিয়ে দিয়েছে তারা। আমার বাড়ির উপর টাকা পাবে বলে তাদের সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। আমি এখন কি করবো নিজেও জানি না। আমার চার মেয়ে নিয়ে আমি নিরুপায় হয়ে গেছি। আমার একটি ছেলে সন্তানও নেই। আমি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফরিদা বেগম বাদী হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ইং একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং- সি আর ৪৭/২২। এবং ৮ জানুয়ারী ২০২০ইং ফরিদা বেগমের মেয়ে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যাহার অভিযোগ নং- ১৬৮। পরবর্তীতে মামলা দায়ের হয়, যাহার মামলা নং- ১১/১/২৩। গত ১৩ মার্চ ২০২৩ইং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আরেকটি জিডি করেন লাভলী আক্তার। যাহার জিডি নং- ৯৩৫। ফরিদা বেগম বাদী হয়ে ৩০ মার্চ ২০২৩ইং একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা, জিডি অভিযোগ দায়ের করেও পরিত্রাণ পাচ্ছেন না সেই অসহায় নারী।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত তাদের সাথে ঝগড়াঝাটি চলে আসছে। ফরিদা বেগম তার চারটি মেয়ে নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস করা অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অত্যাচারে শেষ নেই। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের পাশে দাড়ালেই বাজে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর ও নুরনাহার এবং আক্তার গংরা। সম্মানিত ব্যক্তিদের অস্মান করে তারা। তারা সমাজে কিট হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অপকর্মের মামলা ও অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকেও নীরব থাকতে দেখা যায়।
অত্র এলাকার সচেতন মহলের দাবি, যে বৈধ আছে, সেই এই বাড়ির মালিক। কাগজপত্র দেখলেই সব কিছু বেড়িয়ে আসবে। এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান দরকার। আর বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ভুমিকা পালনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।