আমার নারায়ণগঞ্জঃনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সুমা আক্তার রহিমা (২৩) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৬ মার্চ) উপজেলার তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকায় কামাল হাজীর বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঘাতক
স্বামী পলাতক রয়েছে।
সুমা আক্তার রহিমা নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার খবজিপুর সাকিনের আজাদ হোসেনের মেয়ে ।
নিহতের মা নুরজাহান বেগম জানান, গত দেড় বছর আগে ডেমরা থানার সারুলিয়া ডগাইর খোরশেদ বেপারীর ছেলে রফিক মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ে সুমা আক্তার রহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রহিমা ও রফিক মিয়া তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকার হাজী কামাল উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিল।রফিক মিয়া প্রায় সময়ই রহিমার কাছে বিভিন্নভাবে যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিলো। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় প্রায় সময় শারীরিক নির্যাতন করতো।
রোববার সকালে রহিমাকে একা পেয়ে রুমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, বেলা ১১টার দিকে ঘরে থাকা চাপাতি দিয়ে গৃহবধূ রহিমাকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী রফিক মিয়া পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।
পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ রহিমার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।