আমার নারায়ণগঞ্জঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টহলকালে সাদাপোশাক ও বাহিনীর পোশাকে র্যাবের দুটি গাড়ি টহল দিচ্ছিল। পরে মহাসড়কের অন্ধকার জায়গায় র্যাবের গাড়িটি যানজটে আটকা পড়ে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র সহ সংঘবদ্ধ ৮ ডাকাত র্যাবের মাইক্রোবাসটিকে ঘেরাও করে ডাকাতির চেষ্ঠা করলে র্যাব সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় চর বাউসিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রামদা, তিনটি চায়নিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, একটি ছোরা, একটি হাতুড়ি ও একটি শাবল।
শুক্রবার দুপুরে শহরের কালিবাজার এলাকায় অবস্থিত র্যাব ১১ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিপিসি-১ এর পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার একেএম মনিরুল আলম।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলোঃ সুজন, রাসেল, আলাউদ্দিন, বাদশা হোসেন দিপু, সাব্বির, হাবিবুর রহমান, মিন্টু ও সিয়াম। তারা মুন্সিগঞ্জ জেলার এলাকার বাসিন্দা। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, হাতুড়ি ও শাবাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত র্যাবের টহলদল দুটি বিভক্ত হয়ে সাদা পোশাকে টহলরত দল ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া বাউশিয়া এলাকায় সাদা পোশাকে টহলরত র্যাবের গাড়িকে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত আটকিয়ে অস্ত্রমুখে জিম্মি করার চেষ্টা করে।
এসময় র্যাব সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে দেশীয় অস্ত্রসহ আটজনকে আটক করে। তারা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাধারণ যাত্রী ও বিদেশ ফেরত প্রবাসী যাত্রীদের অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও হত্যার মত ঘটনা ঘটিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।