আমার নারায়ণগঞ্জঃ
সোনারগাঁয়ে এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। তাদের দাবি আটককৃত ব্যাক্তি ‘জনগণের আতঙ্ক, দূর্ধর্ষ ডাকাত দলের সদস্য এবং কুখ্যাত ছিনতাইকারী দলের নেতা’। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সোনারগাঁও উপজেলার মাঝেরচর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, আটককৃতর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

আটককৃত ব্যাক্তির নাম মো. মিজানুর রহমান (৪০)। সে সোনারগাঁ উপজেলার মাঝেরচর এলাকার মৃত মোস্তফা’র ছেলে।

র‌্যাব-১১ সহকারী পরিচালক (এএসপি) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আটককৃত ব্যাক্তি বিভিন্ন সময়ে মানুষের বসত-বাড়ী, যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে তার দলের সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ডাকাতি, ছিনতাইসহ বড় ধরনের অপরাধ সংঘঠিত করে থাকে। গত ২ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জ বাড়ৈপাড়া এলাকায় মো. মোমেন চৌধুরীর বসত বাড়ীতে কৌশলে বারান্দার গ্রিল কেটে ৬/৭ জন মিলে বাড়িতে প্রবেশ করে, পরে মো. মোমেন চৌধুরী, তার স্ত্রী ও মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা, স্বর্নালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় বাদী হয়ে মো. মোমেন চৌধুরী রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

তিনি আরও জানান, আসামী মিজানুর রহমান একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, মাদক, চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিজানুর রহমান এবং তার ডাকাত দলের সদস্যদের আতঙ্কে নারায়ণগঞ্জসহ এর আশ-পাশের এলাকার লোকজন ভীত ও সন্ত্রস্ত। তারে বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা চলমান রয়েছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আসামীকে গ্রেপ্তারের সহযোগিতার করার আবেদনের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ আসামীকে আটকের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আসামীকে সনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মিজানুর রহমান ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আসামীকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।