আমার নারায়ণগঞ্জঃ
২০১৩ সালে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। পরের বছর ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান জাতীয় দলের একসময়ের সবচেয়ে বড় তারকা। পরবর্তীতে এই সাজা কমে ৫ বছরে নেমে আসে।
২০১৮ সালের আগস্টে আশরাফুলের ৫ বছরের ক্রিকেটীয় নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। তখন থেকে লম্বা সময় ধরে তার চাওয়া ছিল আবারও জাতীয় দলের হয়ে খেলা। অন্ততপক্ষে এক ম্যাচ হলেও খেলতে চান তিনি। সে লক্ষ্যেই ঘরোয়া লিগে খেলছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাট হাতে আগের সেই রঙিন দিন ফেরাতে পারছিলেন না ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
ফলশ্রুতিতে ঘরোয়া লিগের ক্রিকেট থেকেও ধীরে ধীরে সুযোগ কমতে থাকে আশরাফুলের সামনে। একমাত্র প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছাড়া আশরাফুল বাকি দুই ফরম্যাটে কিছুটা ব্রাত্য হয়ে উঠেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন সর্বশেষ ডিসেম্বরে। এর আগে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট খেলেছেন নয় মাস আগে। এ ছাড়া ২০২১ সালে সর্বশেষ কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তা-ও বিপিএল নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগে।
শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের শেষদিনে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ছেড়ে মোহামেডানে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রথম বৈশ্বিক সুপারস্টার।
গণমাধ্যমে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটাই আমার শেষ মৌসুম। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে সীমিত ওভারের ম্যাচ থেকে অবসরে যাচ্ছি। আর সামনে যে বিসিএল, এনসিএল আছে; সেগুলো হবে লঙ্গার ভার্সনে আমার শেষ মৌসুম। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটের সব ধরনের জায়গা থেকে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।
তার দাবি, এবারই আমার শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছে। আমি চাচ্ছিলাম, বড় দল থেকেই অবসর নিতে।
আশরাফুল বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই মোহামেডানের সমর্থক। ২০০৯ সালে মোহামেডান যখন শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, আমি সেই দলে খেলেছিলাম। চেষ্টা করব ভালো মতো শেষ করতে, আবার যেন আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়ে খেলব।
প্রথম শ্রেণিতে আশরাফুল ১৮৩ ম্যাচ খেলেছেন। এতে তার ২১ সেঞ্চুরি ও ৪২ হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে, এ ছাড়া ২৮ দশমিক ৬৩ গড়ে ৯১৯২ রান করেছেন আশরাফুল।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের শুরুর দিকে দারুণ কিছু ম্যাচ জেতানো আশরাফুল বাংলাদেশের জার্সিতে মোট ২৬১ ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে ৬ হাজারেরও বেশি রান আছে আশরাফুলের নামের পাশে। এ ছাড়াও ৪৭ উইকেট শিকার করেছেন জাতীয় দলের জার্সিতে।