আমার নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ও অপর ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মোর্শেদা বেগম নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ও অপর ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তাদের মেজ বোন সামসুন নাহার (৪০) বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চাচা মহিউদ্দিন ও চাচাতো ভাই মোস্তফাসহ তাদের পরিবার সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সামসুন নাহারে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত দুইজন হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সানাউল্লাহ মিয়ার বড় ছেলে আসলাম সানি (৪৮) ও ছোট ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম রনি (৩৫)।
এ ঘটনায় তার মেজ ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোস্তফা (৪০), মামুন হোসেন (৩৫), মফিজুল ইসলাম (২৫), মারুফসহ (১৮) তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত দুজনের স্বজনরা জানান, আসলাম সানী ওই এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক আতাউর রহমানের কাছ থেকে তিন শতাংশ জমি কেনেন। এ জমিসহ পাশের আরও একটি জমি দাবি করেন তার চাচা মহিউদ্দিনও চাচাতো ভাই মোস্তফা, মামুন এবং মারুফ। এ নিয়ে আসলাম, রনি ও রফিকুলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। তাদের জমির পাশ দিয়ে সরকারি অর্থায়নের তিন লাখ ১১ হাজার ২৪১ টাকা ব্যয়ে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় খাসপাড়ার আলী হোসেনের বাড়ি থেকে হারুনের বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ ড্রেন মহিউদ্দিনের জায়গার ওপর দিয়ে যাচ্ছে এমন দারি করেন তিনি। এ নিয়ে চাচা মহিউদ্দিনের সঙ্গে আসলামের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই মোস্তফার নেতৃত্বে আসলাম ও রনি এবং রফিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে আসলাম ও রনিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত রফিকুল বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ আমার নারায়ণগঞ্জকে জানান, এ হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার ছয় নম্বর আসামি মোর্শেদা বেগমকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।