আমার নারায়ণগঞ্জঃ
ফতুল্লায় গলায় ফাঁস লাগানো লিজা (২২) নামক এক গৃহবধূর ঝুুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত লিজা ফতুল্লা মডেল থানার দাপা কবরস্থান সড়কের আউয়ালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ সোহেলর স্ত্রী ও একই এলাকার মোঃ মোস্তফা মিয়ার মেয়ে।

শনিবার বিকেল চারটার দিকে ফতুল্লার দাপা কবরস্থান সড়কের আউয়ালের বাড়ী থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা মোস্তফা জানায়, ২০১৭ সালে পারিবারিক ভাবে নিহতের সাথে সোহেলর বিয়ে হয়।

তাদের আব্দুল্লাহ আল আসফি নামক তিন বছর বয়সী এক ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে। নিহতের স্বামী বিসিকস্থ একটি গার্মেন্টের শ্রমিক। শনিবার সকাল আটটার দিকে নিহতের স্বামী নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। পরে সকাল সাড়ে আটটার তার স্ত্রী নিহতের মা নিহতের বাসায় যায়।

তখন নিহত এবং তার শিশু সন্তান কে নিজ বাসায় নিয়ে আসতে চাইলে নিহত লিজা তার মাকে জানায় ঘর গুছিয়ে পরে যাবে। শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল আসফি কে নিয়ে যেতে বলে।পরে শিশু সন্তান কে নিজ বাসায় চলে যায় নিহতের মা।

দুপুর দুইটার দিকে নিহতের দেবর বাসায় দুপুরের খাবার খেতে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করে। এতে কোন সারাশব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উকি মেরে দেকতে পায় নিজতের ঝুলন্ত দেহ। পরে মোবাইল ফোনে তাকে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে সংবাদ দেন।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশর উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানায়,সংবাদ পেয়ে তিনি বিকেল চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের ফ্যান ঝুলানো রডের সাথে ওড়না পেচানো গলায় ফাঁস লাগানো নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

নিহতের টেবিলের উপর রাখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। তাতে বাবা,মা, স্বামীর উদ্দেশ্যে লেখা রয়েছে জীবনের প্রতি ত্যাক্ত হয়ে বা বিতৃষ্ণা হয়ে আত্নহত্যা করেছেন।

নিহতের লাশের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।