আমার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কচুরিপানা জমে নৌকা ও ট্রলার চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে।বন্দর ও নবীগঞ্জ অংশসহ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানার জট সৃষ্টি হয়েছে। এতে সহজে বইঠা বাইতে পারছেন না মাঝিরা।
গতকাল বুধবার শীতলক্ষ্যা নদীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানা জন্মেছে। কোথাও কোথাও কচুরিপানার সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা আটকে পুরু স্তরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ট্রলারচালক ও নৌকার মাঝিরা বহু কষ্টে খেয়া পারাপার করছেন। মাঝির সঙ্গে যাত্রীরাও বইঠা বেয়ে কচুরিপানার জট ছাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। মালবাহী নৌকা মাঝে মধ্যে নদীর মাঝে আটকে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাড়ের কাছে কচুরিপানা বেশি হওয়ায় মালবাহী নৌকা ভিড়তে পারছে না। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
যাত্রী মোবারক হোসেন ও ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানার জন্য নদীতে খেয়া পারাপার হতে অনেক সময় লাগে। কচুরিপানার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যায় নদী পার হতে।
নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমডি২ এর চালক মো. মাহাবুব জানান, সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁর লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে ছাড়ে কচুরিপানায় লঞ্চ ঠিকমতো চলতে পারছে না। এ জন্য ইঞ্জিন ও পাখা প্রায়ই বিকল হয়ে যায়।
বন্দর খেয়া ঘাটের মাঝি মজিবুর জানান, কচুরিপানার কারণে এ ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপারে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। দুই তিন জন সহযোগী নিয়ে কচুরিপানা ফাঁক করে বহু পথ ঘুরে যাত্রী পারাপার করতে হয়। তীব্র রোদ ও গরমের মাঝে দীর্ঘ সময় যাত্রীরা নদীতে বসে থাকতে কষ্ট হওয়ায় তারা বেশ খানিকটা ঘুরে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে বর্তমানে উপার্জন কমে যাওয়ায় দুর্মূল্যের এ বাজারে খুব কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
বন্দর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল হাই জানান, রাজধানী ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌপথে পাইকারী মালামাল আনতে পারলে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়। কিন্তু বর্তমানে কচুরিপানার কারণে নৌপথে মালামাল পরিবহন করতে না পারায় সড়ক পথে মালামাল পরিবহন করতে হচ্ছে। ফলে কিছতা বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়।